স্থানীয় গরুর জাতের নাম - আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটেল/অষ্টমুখী লাল গরু/লাল বিরিষ
আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটেল/অষ্টমুখী লাল গরু/লাল বিরিষ জাতের গরু চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিজস্ব জাতের গরু। চট্টগ্রামের রাউজান, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলায় এ গরুর আদি নিবাস। তবে চট্টগ্রাম ছাড়াও নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলায়ও এ জাতের গরু দেখা যায়।
রং, গঠন এবং অন্যান্য পরিচিতি:
হালকা লাল রঙের এ জাতের গরু দেখতে ছোটো খাটো, পেছনের দিক বেশ ভারী, চামড়া পাতলা, শিং ছোটো ও চ্যাপ্টা। এদের মুখ খাটো, চওড়া, মাঝারি ধরনের গলকম্বল, গলাখাটো ও সামান্য কুঁজ আছে।
সাধারণত ২০০-৩০০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে অষ্টমুখী লাল গরু। সাধারণ ব্যবস্থাপনায়ও এ জাতের গরু থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিকূল পরিবেশের সাথে এরা সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
স্থানীয় প্রজাতির হওয়ায় চট্টগ্রামের লাল গরুর কদর ছিল বহু আগে থেকেই। একটা সময় চট্টগ্রামের লোকজন লাল গরু ছাড়া কোরবানি দিতেন না বলে শোনা যায়। মেজবানি/বিয়েতেও বেশ চাহিদা ছিল এ লাল গরুর। সত্তরের দশক থেকে দেশে এ প্রজাতির গরুর সংকরায়ন শুরু হয়। ফলে এখন এ গরুর আদি জাত সংকটের মধ্যে আছে। কৃত্রিম প্রজননের ফলে চাটগাঁইয়া লাল গরু ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সাতকানিয়া, চন্দনাইশ লোহাগাড়া বাঁশখালী, আনোয়ারসহ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় বর্তমানে ৫-৬ হাজার বিশুদ্ধ অষ্টমুখী লাল গরু রয়েছে বলে জানা যায়। চট্টগ্রামে কোরবানির হাটে ৮-১০ হাজার লাল গরুর সরবরাহ আসে।
মাংশ এর জন্য চট্টগ্রামের অষ্টমুখী লাল গরু বিখ্যাত।
Share - Facebook
গোশত কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে রান্নার পাত্রে গোশতে উল্লেখিত সব মশলা পাতি (জিরা গুড়া ছাড়া এবং অর্ধেক পেঁয়াজ কুঁচি ছাড়া) নিন। তেল লবন সহ এভাবে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার চুলায় বসিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে হবে। গোশত সিদ্ধ এবং পানি শুকিয়ে যাবে, আগুন মাঝারি আঁচে রাখুন।